ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা ও প্রেমের ছন্দ



সম্মানিত ভিজিটর আপনাদের কে অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি  ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা ও প্রেমের ছন্দ উপস্থাপনা ভালবাসার কবিতা রোমান্টিক ছন্দ ও কবিতা, ভালোবাসার কবিতা প্রেমের ছন্দ

ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা ও প্রেমের ছন্দ

অপেক্ষা

অপেক্ষা, তুমি প্রিয়তমা হও

তোমার ঠোটে চুম্বনরস ঢেলে দিই, একান্ত আবেশিত হই,

নিঃশব্দ আহ্বান জানাই রাতের শেষ ক্ষনে

তুমি শেষ হও, আমি জেগে উঠি নব উদ্যমে।


তুমি প্রিয়তমা হও

আমি কালের বিবর্তনে হাওয়া বদলের সাক্ষী হই

রংধনু রঙ এনে হোলি খেলে উল্লাস করি

তুমি সাহসী হলেই, আমি মেতে উঠি বাধাহীন এক নৃত্যোৎসবে।


তুমি প্রিয়তমা হও

আমি টেকনাফ হতে তেতুলিয়া ঘুরে বনফুল খুঁজে

বাসরের ক্লান্তিময় মুখে একে দিই লজ্জাবতী চুম্বন,

তুমি সাহসী হলেই, আমি সাঁতরে পার হবো ইংলিশ চ্যানেল।


সবই কেবল অপেক্ষার প্রহর।

আজ থেকে চার দশক পর, আমি যাবো পঁচাত্তরে

চেহারা, যৌবন জৌলুস হারাবে

দৃষ্টি সীমা নেমে যাবে বিপদসীমার উপরে

হয়তো একটি হুইল চেয়ার ঘোরানোর শক্তিও থাকবে না।


কেবল তুমি প্রিয়তমা হলেই –

আমি নব উদ্যম নিয়ে জেগে উঠবো আবার

মেতে উঠবো এক বাধাহীন নৃত্যোৎসবে,

আমিও সাঁতরে যাবো ইংলিশ চ্যানেল।


প্রিয়তমা, আমার পঁচাত্তরে কি তুমি পাশে থাকবে?


ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা ও ছন্দ

প্রেমের ছন্দ-২

তোমার অভিমান আমাকে শান্তি বিমুখ করে

তুমি অন্তর্যামী হও।

পড়ে দেখ কতশত কবিতা তোমার জন্য

ব্যাকুলিত আবেগে বর্ণমালা হয়ে মিছিলে নেমেছে

অনশনে জীর্ণশীর্ণ ছন্দরা তোমার বিহনে

মরতে বসেছে প্রায়।


তুমি অন্তর্যামী হও

তোমার অভিমান আমাকে ভাষাহীন করে দেয়

আমি পরাজিত সৈনিকের মতো দিশারী খুঁজে ক্লান্ত হই

আমাকে মুক্তিপত্র দাও,

অভিমান বদলে ভালবাসা নাও।


প্রিয়তমা, আমার কবিতাকে হত্যা করো না।


কবিতার নাম পাগলামি

ভালোবাসার রোমান্টিক ছন্দ ও কবিতা ৩

মুহাম্মাদ উমর ফারুক


………………………………………

তুমি ছুঁয়ে দিলেই নাকি গাছে গাছে ফুল ফোটে

বরফ গলে জল হয়

বসন্ত বিনা কোকিলেরা গান গায়

খরস্রোতা নদীপথ যৌবন ফিরে পায়।


হায়! আজ একটু ছুঁয়ে যাও আমায়

শরৎ বিকালে কাশফুলে দুলে দুলে

অশান্ত মন আমার প্রেমিক যেন হতে চায়।


অবন্তী, হাতটা বাড়িয়েছি। ছুঁয়ে দিবে আমায়?


কাশফুলের রোমান্টিক কবিতা

পড়ন্ত বিকেল;

কালো মেঘে ছেঁয়েছে আকাশ,

হয়তো হঠাৎ নেমে আসবে

এক পশলা বৃষ্টি।

হাঁটছি আমি

রাস্তার দু’পাশে বাতাসে দোলায়মান কাশফুলগুলোর

ঠিক মাঝখানটি ধরে।

কোনো উদ্দেশ্য নেই,

নেই কোথাও পাড়ি জমানোর আকাঙ্খা।

তবু কেন হাঁটছি আমি..


হয়তো আজি বহুদিন পর এই মনটা

আবারো খুঁজছে তোমায়,

হয়তো শরতের স্নিগ্ধ শুভ্র কাশফুলগুলোর মাঝে

আবারো অবলোকন করছি তোমায়।

তোমার মনে আছে..


মনে থাকবেই না কেনো।

এইতো বছরখানেকের কথা-

ঠিক ছিল এমন-ই একটা দিন।

যেদিন একগুচ্ছ শুভ্র কাশফুল নিয়ে

হাঁটুগেড়ে বসে তোমায় বলেছিলাম-

এই সিধুটাকে তোমার মনের মন্দিরে

একটু স্থান দেবে..


জবাবে পেয়েছিলাম ঠোঁটের কোণে

লেগে থাকা মুচকি হাসি।

কিন্তু আজ তুমি নেই।

তুমি ঐ শুভ্র কাশফুলের রঙ্গে

নিজেকে সাজিয়ে চলে গেছো

এক না ফেরার দেশে।

আমি জানি তুমি কেন

বলোনি আমায়-


কেন বলোনি তুমি মরণব্যাধি ক্যান্সারে

আক্রান্ত;

এই সিধুটা কষ্ট পাবে এইতো।

কষ্টতো আমি আজও পাচ্ছি

তোমাকে হারানোর কষ্ট।

আজি তোমাকে দেখতে পাই

ঐ শুভ্র কাশফুলগুলোর মাঝে,

তাইতো আজও বলে উঠি

তোমাকে খুব ভালবাসি কাশফুল

আমি সত্যি-ই তোমায় খুব ভালবাসি।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post