সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদ

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদ - 
সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম।

অনুবাদ : শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।

অনুবাদ : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

উচ্চারণ : আররহমা-নির রাহি-ম।

অনুবাদ : যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ

উচ্চারণ : মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।

অনুবাদ : বিচার দিনের একমাত্র অধিপতি।

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

উচ্চারণ : ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন

অনুবাদ : আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

উচ্চারণ : ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম

অনুবাদ : আমাদের সরল পথ দেখাও।

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

উচ্চারণ : সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।

অনুবাদ : সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ । Surah Fatiha Fangla


1. আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।
2. আররহমা-নির রাহি-ম।
3. মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন।
4. ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-ন
5. ইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-ম
6. সিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম 
7.গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।

সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি


সূরা ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ ছবি


সূরা ফাতিহা ফজিলত


সুরা ফাতিহা পবিত্র কোরআনের প্রথম সুরা। ফাতিহা ছাড়াও সাবউল মাসানী, উম্মুল কোরআন, ফাতিহাতুল কিতাবসহ একাধিক নাম রয়েছে এ সুরার। আল্লাহ তায়ালা এই সুরায় বান্দার করণীয় বিষয়ে জানিয়েছেন। এ সুরার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। এর আমলের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 


মোল্লা আলী কারী (রহ.) বলেন, ‘সূরা ফাতেহার অক্ষর, শব্দ পড়াতে যেমন শেফা আছে তেমনি লেখাতেও শেফা আছে। যে কোনো ধরনের রোগ চাই দ্বীনি হোক কিংবা পার্থিব, অনুভবযোগ্য হোক বা না হোক সব কিছু এ সূরা পড়া বা লেখার বরকতে আল্লাহর ইচ্ছায় আরোগ্য হবে।’ -(মিরকাতুল মাফাতিহ)

সুরা ফাতিহার ফজিলত


এ বিষয়ে হজরত আবদুল মালেক ইবনে ওমায়ের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সূরা ফাতেহা সব রোগের মহৌষধ।’- (সুনানে দারেমি, হাদিস ৩৪১৩; মিশকাত, হাদিস ২১৭০)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, কয়েকজন সাহাবি আরবের এক গোত্রে এলেন। গোত্রের লোকেরা তাদের কোনো মেহমানদারি করল না। হঠাৎ ওই গোত্রের নেতাকে সাপে কাটে। তখন তারা এসে বলল, আপনাদের কাছে কি কোনো ওষুধ আছে?

তারা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, আছে। তবে তোমাদের আমাদের মেহমানদারি করতে হবে। আমরা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। তারা মেহমানদারি করতে রাজি হল। এ ছাড়া আমরা তাদের কাছে একপাল বকরি চাইলাম। তখন একজন সাহাবি উম্মুল কোরআন অর্থাৎ সূরা ফাতেহা পড়ে মুখে থুথু জমা করে সে ব্যক্তির ক্ষতে মেখে দিলেন। ফলে বিষ নেমে গেল এবং সে সুস্থ হয়ে গেল।

সাহাবিরা খাওয়া-দাওয়া করে নবী করিম (সা.)-এর কাছে বকরিসহ ফিরে এলেন। তারা রাসূল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন তাদের এ ধরনের কাজ ঠিক হল কি না। নবী (সা.) শুনে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, ঠিক আছে বকরিগুলো নিয়ে যাও এবং তাতে আমার জন্যও একটি অংশ রেখে দিও।’ (বুখারি, হাদিস ৫০০৬)

হজরত আবু সাঈদ ইবনে মুয়াল্লা রা: বর্ণিত হয়েছে। একদা হজরত রাসূল সা: বললেন, আমি কি মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে তোমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা শিক্ষা দেবো না? তারপর যখন মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলাম, তখন বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতর সূরা শেখাবার কথা বলেছিলেন? তিনি বললেন, তা হলো সূরা ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’। এটিই সেই সাতটি পুনঃ আয়াত এবং আমাকে প্রদত্ত মহা কুরআন। ( সুনানে দারেমি. ৪, ২১২২)

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post